রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা আলম উপ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। সরকারি দলের প্রার্থীকে জেতাতে কারচুপির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি ফিফটি ফিফটি আশাবাদী বলে জানান।
সোমবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ১০ ভাগ ভোট দিতে পারে, এই ভোট নির্বাচনে জয় পরাজয়ের প্রতিবন্ধক।
তিনি বলেন, সুক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার যাতে জয় ছিনিয়ে নিতে না পারে সেজন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিক দের সহায়তা কামনা করেন এবং মূল সত্য তুলে ধরার আহবান জানান।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে আমার দল জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি আদর্শিক কারণে জমিয়ত ছেড়েছি। আমি মুলত জাতীয়তাবাদী রাজনীতির কর্মী। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। তাদের নেতাকর্মীরা ভোটে না গেলেও সমর্থকদের সহযোগিতা পাব বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, সরকার দলীয় পাতি নেতারা আমাকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। আমি প্রতিবন্ধকতার সন্মুখিন হলেও এসব মোকাবিলা করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবি জানান ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তালহা আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ইভিএমএ ভোটাররা নিজ নিজ আঙুলের চাপে ভোট দিয়ে থাকেন। এমন অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য , গত ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী তালহা আলম। ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মৃত্যু বরন করলে চেয়ারম্যান পদে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এতে ৫ জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে তালহা আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাপ পিরিচ প্রতীকে আর আব্দুল কাইয়ুম কামালী জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হিসেবে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোটযুদ্ধে আছেন। অপর দুই জন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান লাঙ্গল ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রাশীদ আনারস প্রতীকে লড়ছেন।
Leave a Reply